কুমড়ার বিচি (বীজ), সবজির আবর্জনা হিসেবে ময়লার ভাগাড়ে যার স্থান হয় তারই যে কত রকমের গুণ আছে জানলে অবাক হবেন। কুমড়ার বিচি ভিটামিন বি, ম্যাগনেশিয়াম, লোহা ও প্রোটিনের ভালো একটি উৎস। বিচিগুলোতে অপরিহার্য ফ্যাটি অ্যাসিড উচ্চমাত্রায় রয়েছে। যা আপনার শরীরকে নানা ভাবে সাহায্য করবে। কাঁচা কিংবা একটু ভেজে নিয়েও অথবা কেক, স্যুপ ও সালাদ বানিয়েও খেতে পারেন প্রাকৃতিক এই কার্যকরী ওষুধটিকে।
আজ জানবো কুমড়ার বিচি বা বীজের পাঁচটি গুণাগুণ…
ভালো ঘুম: ভালো একটু ঘুমের জন্য কত কিছুই না করা হয়। তবে ভালো ঘুম চাইলে কুমড়োর বিচি খেতে পারেন। এতে আছে সেরোটোনিন। স্নায়ু নিয়ন্ত্রক এই রাসায়নিক বস্তুকে প্রকৃতির ঘুমের বড়ি বলা হয়। ট্রাইপটোফ্যান নামের অ্যামিনো অ্যাসিড শরীরে গিয়ে সেরোটোনিনে রূপান্তরিত হয়, যা ঘুম নিশ্চিত করে।
হৃদযন্ত্র ভালো রাখে: কুমড়োর বিচিতে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় চর্বি, ফাইবার এবং বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। যা হৃদ্যন্ত্রের জন্য উপকারী। এতে আছে ফ্যাটি অ্যাসিড, যা খারাপ রক্তের কোলেস্টেরল কমায় এবং ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায়। ম্যাগনেশিয়ামের উপস্থিতি ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। ফলে হদরোগের ঝুঁকি কমে যায়।
ডায়াবেটিস রোধ: কুমড়োর বিচি টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়। এতে শরীরে নিয়মিত ইনসুলিন সরবরাহ করে এবং ক্ষতিকর অক্সিডেটিভ চাপ কমায়। এছাড়া হজমে সাহায্য করে এমন প্রোটিনও সরবরাহ করে কুমড়োর বিচি, ফলে রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
ওজন কমাতে সাহায্য: আজকাল ওজন কমাতে আমাদের কি দৌড়ঝাঁপ। সাধারণ ও ফেলনা এই বীচি ওজন কমাতে দারুণ ভাবে সাহায্য করে। এটি আশজাতীয় খাবার বলে হজমে সময় লাগে ফলে ক্ষুধা পায় না। আর এতে বাড়তি খাবার শরীরে ঢোকার সুযোগ পায় না।
রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: কুমড়োর বীজে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও ফাইটোকেমিক্যাল থাকে, যা শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এ ছাড়া ভাইরাসের সংক্রমণের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয় এটি। এছাড়া এটি পুরুষের উর্বরতা বাড়ায় ও প্রোস্টেটের সমস্যা প্রতিরোধ করে।